স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ‘সিরাজুল আলম খান সেন্টার ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ কর্তৃক আয়োজিত সভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ জাসদের নেতা নাজমুল হক প্রধান, রাশেদ খান, সাখাওয়াত হোসেন টুটুল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, বিদ্যমান সংকুচিত গণতন্ত্রের পরিবর্তে বিকাশমান সমাজশক্তির অংশীদারত্বভিত্তিক গণতন্ত্র। এই রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সমস্ত জনগণের স্বার্থ রক্ষাকারী নতুন এক রাষ্ট্রশক্তির উদ্ভব ঘটবে। বিদ্যমান দমনমূলক ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে এটা হবে মূলত জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়নের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।’
‘বিকাশমান রাজনৈতিকশক্তির রাজনৈতিক ভূমিকা শাসনতান্ত্রিকভাবে প্রবর্তিত হলে, একনায়কত্ব, ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী শক্তিরগর রাজনৈতিক কার্যকলাপ চূর্ণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে, প্রচলিত রাজনীতি সৃষ্টিশীল জাগরণের মুখে চ্যালেঞ্জে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অংশীদারত্বভিত্তিক রাজনীতির প্রবক্তা হলেন সিরাজুল আলম খান। যিনি বহু বছর পূর্বে বিদ্যমান সংবিধানের পরিবর্তে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের জন্য শাসনতন্ত্র ও শাসনতান্ত্রিক রূপরেখা হাজির করেন। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ, জাতিরাষ্ট্রের বিকাশ নিশ্চিত করা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় সিরাজুল আলম খানের রাজনীতি অনিবার্য।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল আলম খান সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান রায়হানুল ইসলাম। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল আলম খানের গড়ে তোলা যুব সংগঠন যুব বাঙালির কেন্দ্রীয় সংগঠক মো. আলী পারভেজসহ দাদা ভাইয়ের সহযোদ্ধা, শুভাকাঙ্ক্ষী, রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।